ঘামের গন্ধ দূর রান্নার উপকরণ দিয়ে
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
শরীর ঠাণ্ডা রাখতে ও বিষাক্ত উপাদান বের করে দিতে ঘাম হয়। তবে এই ঘামের কারণে যদি হয় দুর্গন্ধ সেটা দূর করার উপায় রয়েছে রান্নাঘরেই।
রান্না করতে গিয়ে ঘামছেন। আবার গায়ে দুর্গন্ধও হচ্ছে। কারণ ব্যাক্টেরিয়ার। যা ঘামে দুর্গন্ধ তৈরি করে। আর রান্নাঘরেই রয়েছে এই সমস্যার সমাধান।
রূপচর্চাবিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে ঘাম থেকে হওয়া বাজে গন্ধ দূর করার কয়েকটি পন্থা এখানে দেওয়া হল।
লেবুর রস: রান্নাঘরে লেবু নিশ্চই আছে। এটা ত্বকের পিএইচ’য়ের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে যা দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধবংস করে।
* একটা লেবু কেটে অর্ধেক করে তা বগলে ঘষে নিন। লেবুর রস শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এটা দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করবে।
* একটা প্লেটে লবণ ছিটিয়ে নিন। অর্ধেকটা লেবুর রস লবণের সঙ্গে মেশান এবং হালকাভাবে তা বাহুমূলের নিচে মালিশ করুন। দশ মিনিট পর পরিষ্কার পানি দিয়ে তা ধুয়ে ফেলুন।
* দুই টেবিল-চামচ লেবুর রসের সঙ্গে এক টেবিল-চামচ ভুট্টার গুঁড়া মেশান। মিশ্রণটি দশ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন, দূর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে।
বেইকিং সোডা
ঘাম শুষে নিয়ে পিএইচ’য়ের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি বন্ধ করে। ফলে ঘামের দূর্গন্ধ হয় না।
* পাউডারের মতো বেইকিং সোডা ব্যবহার করুন। বগল, হাঁটুর পেছনের অংশ এবং পায়ের আঙ্গুলে বেইকিং সোডা পাউডারের মতো লাগান, এটা বাড়তি ঘাম শুষে নেবে।
* পায়ের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে জুতার ভেতরে বেইকিং সোডা রাখুন। এটা আর্দ্রতা শুষে দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করবে। সারা রাত জুতার ভেতর বেইকিং সোডা রেখে সকালে পরার আগে ঝেড়ে ফেলুন।
* এক কাপ পানিতে দুই টেবিল-চামচ বেইকিং সোডা মেশান। মিশ্রণটি একটা স্প্রে বোতলে রাখুন এবং ঘাম বেশি হয় এমন স্থানে স্প্রে করুন। শুকিয়ে এলে তা ঝেড়ে পরিষ্কার করুন। এতে কাপড়ে দাগ পড়বে না।
* দুই ভাগ বেইকিং সোডা এবং একভাগ ভুট্টার গুঁড়া মিশিয়ে তা বগল ও পায়ে ছিটান, ঘামের দুর্গন্ধ দূর হবে।
* এক টেবিল-চামচ বেইকিং সোডা ও লেবুর রস মিশিয়ে তা বগল, কুচকি ও পায়ে লাগান। পাঁচ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন।
চা
ত্বক শুষ্ক রাখতে চাইয়ের ট্যানিন সাহায্য করে। এটা ঘামের দুর্গন্ধ সৃষ্টি হওয়া থেকে বিরত রাখে। সপ্তাহে দুতিনবার এটা ব্যবহার করুন। এর বেশি ব্যবহারে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায়।
* পর্যাপ্ত পানি ফুটিয়ে তাতে গ্রিন টি’র পাতা ছেড়ে দিন। ঠাণ্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ঘাম হয় এমন স্থানে তা স্প্রে করুন।
* এক লিটার পানি ফুটিয়ে তাতে দুটি টি-ব্যাগ দিয়ে দশ মিনিট অপেক্ষা করুন। গোসল করার পানিতে খানিকটা মিশিয়ে গোসল করুন।
ভিনিগার
ঘামের দুর্গন্ধ কমাতে সাদা ও অ্যাপল সাইডার ভিনিগার দুটাই ভালো কাজ করে। এগুলো ত্বকের পিএইচ পরিবর্তন করে, দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে।
* ঘাম আক্রান্ত স্থানে তুলার সাহায্যে ভিনিগার লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন।
* দুই টেবিল-চামচ ভিনিগার এবং কয়েক ফোঁটা পিপারমিন্ট, সেইজ বা রোজমেরির তেল এক কাপ পানিতে ভালোভাবে মিশিয়ে একটা স্প্রে’র বোতলে সংরক্ষণ করুন। এটা ডিওডোরেন্ট হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
টমেটো
এর প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক ঘামে দূর্গন্ধ সৃষ্টি করে এমন ব্যাক্টেরিয়া দূর করে।
* টমেটোর ভেতরের অংশ বগলের লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন।
* গোসলের পানিতে দুই কাপ টমেটোর রস মিশিয়ে গোসল করুন অথবা ২০ থেকে ৩০ মিনিট তাতে ডুবে থাকুন। ভালো ফলাফল পাবেন।